সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় মনাই নদী খননের কাজ পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।
শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় খনন কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলার মনাই নদীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোড-এর অধিনে নিতিমালা তুয়াক্কা না করে নদী খনন এক নদীতে তিন খনন। নদী পাশ্ববর্তী গ্রাম খলাপাড়া, কাকিয়াম, বৌলাম গ্রামের সাধারণ মানুষ বিপাকে। নদীর পাশ্ববর্তী কৃষকের জমির ধান নষ্ট করে মাটি ফেলানো হচ্ছে। এছাড়া যেখান থেকে খনন করা হয়, সেখানেই মাটি ফেলানো হচ্ছে, বৃষ্টিতে আবার নদীর ভর্তি হচ্ছে। গ্রামের মানুষ গোসল করার সমস্যা সহ, নদী তার নর্ব্যতা হারাচ্ছে।
কাকিয়াম গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ১০ ফুট খননের কথা, ২ ফুট করে চলে যাচ্ছে, জাগার মাটি জাগায় যাচ্ছে, সেই মাটি, নদীতে ভরাট হচ্ছে।
খলাপাড়া গ্রামের রুবেল বলেন, নদী খনন নামে, চলছে দুনিতী, নদী গভীর হওয়ার জন্য নদী খনন, সামান্য কিছু খনন করে, তীরে মাটি রেখে দেখানো হয়েছে, নদী খনন করা হচ্ছে।
বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের সাবেক শিক্ষানুরাগী কামরুল হাসান লিটু বলেন, সামান্য মাটি কেটে তীরে ফেলা হচ্ছে, সেই মাটি বৃষ্টিতে ভিজে নদীর ভরাট হচ্ছে।
গ্রামবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর কাছে গিয়ে অভিযোগ করা হলে তিনি সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা খুজে পান।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, কিছুদিন পূর্বে সেলবরষ ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নদী খননের গাফলতির ও অনিয়মের কথা আমাকে জানিয়েছেন। আমি পানি উন্নয়ন বোড-এর কর্মকর্তাগণের সাথে যোগাযোগ করেছি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নী।পানি উন্নয়ন বোড, নিতিমালা তুয়াক্কা না করে নদী খনন এক নদীতে তিন খনন, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোড ও ঠিকাদার কস্পানীর যৌথ উদ্যোগে অনিয়ম হচ্ছে। সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হতে দিতে পারি না, সাধারণ মানুষ বিপাকে। মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে নদী খননের অনিময় বিষয়ে আলাপ করেছি, সচিব সাহেবকে অবগত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর চিপ ইঞ্জিনিয়ারকে, এই বিষয়ে জানানো হবে। আপনাদের সমস্যা তুলে ধরব। করোনা ভাইরাস থেকে নিজেও সর্তক থাকুন, পরিবারকে সর্তক রাখুন সুস্থ্য থাকুন সবাই।